কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বোটডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের সী–ইন পয়েন্ট এবং ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ ট্রলারের মধ্যে মঙ্গলবার তিনটি ট্রলার নিয়ে ৫১ জেলে নিরাপদে ঘাটে ফিরেছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ডুবে যাওয়া ১৫ ট্রলারের ৭০ জেলে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের সী–ইন পয়েন্ট এবং সকালে ইনানী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ দুটি দুইদিন আগে বঙ্গোপসাগরে বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের বলে ধারণা পুলিশের। তবে গতরাত পৌনে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় মৃতদেহ দুটির পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে মৃতদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহামদ জানান, মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ দুটি সনাক্ত করতে বঙ্গোপসাগরে বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে রবিবার ডুবে যাওয়া ১৫ ট্রলারের ৭০ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার মালিক সমিতির এই নেতা আরো জানান, শনিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ৩০টি বোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ১৫টি ট্রলারের ৭০ জন জেলে ব্যতীত বাকীদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
নিখোঁজ ট্রলারের মধ্যে মঙ্গলবার তিনটি ট্রলার নিয়ে ৫১ জেলে নিরাপদে শহরের ফিশারীঘাটস্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরেছে। এসব ট্রলারে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে শহরের মধ্যম নূনিয়াচঢ়ার জয়নাল আবেদীনের ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার ইলিশ ধরা পড়ে বলে তিনি জানান। বর্তমানে সাগরে কোন ট্রলার নেই বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়েও সোনাদিয়ার পশ্চিম উপকূলে অবস্থানরত গ্যাসবোঝাই জাহাজটির আলো ছাড়া কোন ফিশিং ট্রলারের আলো চোখে পড়েনি। সাধারণত রাতের বেলায় ফিশিং ট্রলারগুলো বাতি জ্বালিয়ে সাগরে মাছ ধরলে সৈকত থেকেই তার দৃশ্য দেখা যায়।
পাঠকের মতামত: